মালদা

মরণাপণ্য রোগীকে অক্সিজেনহীন খালি সিলিন্ডার লাগানোর প্রতিবাদ করায় হাসপাতাল কর্মীকে মারধর

মরণাপণ্য এক রোগীকে অক্সিজেনহীন খালি সিলিন্ডার লাগানোর জন্য এক হাসপাতাল কর্মীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠলো কর্তব্যরত নার্স ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে। আর সেই কথায় রাজি না হওয়ায় ওই কর্মীকে চাকুরী ক্ষেত্রে দিনের পর হেনস্থায় করার অভিযোগ উঠল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও নার্সের বিরুদ্ধে। পরে তাকে এলাকার মস্তান বাহিনী দিয়ে মারধরের চেষ্টা করা হলে কোন ক্রমে পালিয়ে প্রানে বাঁচেন ওই কর্মী। বাধ্য হয়ে সুবিচার চেয়ে এবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দ্বারস্থ ওই কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার বামনগোলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

          জানা গিয়েছে, ওই স্বাস্থ্য কর্মীর নাম রঞ্জিত দাস। বাড়ি বামনগোলা এলাকায়। রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ জুন মাসের ২০ তারিখের সকালে এক মুমুর্শ রোগীকে অক্সিজেন ও নিবুলাইজার লাগানোর নির্দেশ দেয় কর্তব্যরত নার্স। গোটা হাসপাতাল খুঁজে একটিও অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার পাওয়া যায় নি। এই অবস্থায় গোটা বিষয়টি নার্সকে জানালে, সেই কর্তব্যরত নার্স তাকে খালি সিলিন্ডারের নল রোগীকে লাগিয়ে রাখতে বলে। তিনি গোটা বিষয়টি বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারি অর্ণব সরকারকে জানান। বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারি অর্ণব সরকার তাকে (রঞ্জিত দাস) ওই নার্সের কথা শুনে চলতে বলেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদ করলে তাকে চাকুরী ক্ষেত্রে হেনস্থা ও স্থানীয়দের দিয়ে মারধরের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় সে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ সাহাজাহান সিরাজের কাছে অভিযোগ জানান। এধরনের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হলেও গোটা বিষয়টি নিয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

    এবিষয়ে হেনস্থাগ্রস্থ হাসপাতালের কর্মী রঞ্জিত দাস অভিযোগ করে বলেন, এদিন সকালে এক রোগীকে অক্সিজেন ও নিবুলাইজার লাগানোর নির্দেশ দেয় এক নার্স। গোটা হাসপাতাল খুঁজে একটিও অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার না পাওয়ায় সেই নার্সকে বিষয়টি বলেন। ওই নার্স খালি সিলিন্ডারের নল রোগীকে লাগিয়ে রাখতে বলে। ঘটনাটি তিনি গোটা বিষয়টি বামনগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারি অর্ণব সরকারকে জানালে তিনিও ওই নার্সের কথা শুনে চলতে বলে। এর প্রতিবাদ করলে তাকে চাকুরী ক্ষেত্রে হেনস্থা ও স্থানীয়দের দিয়ে মারধরের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় সে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ সাহাজাহান সিরাজের কাছে অভিযোগ জানান।

    এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ সাহাজাহান সিরাজ ঘটনার তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন।

    অন্যদিকে, এই গোটি বিষয়টি নিয়ে অর্ণব সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।